ডেবিট ও ক্রেডিটঃ
ডেবিট ও ক্রেডিট হিসাববিজ্ঞানের সবচেয়ে
পরিচিত শব্দ । দু'তরফা দাখিলা পদ্ধতি বলা হয়েছে দুটি পক্ষ ছাড়া লেনদেন সম্ভব না । এ
দুটি পক্ষকে আলাদা করার জন্যই ডেবিট ও ক্রেডিট-কে ব্যবহার করা হয় ।
ডেবিট ও ক্রেডিট শব্দ দুটিই ল্যাটিন শব্দ
।
দু'তরফা দাখিলা পদ্ধতির উদ্ভাবক লুকা প্যাসিওলির
মতে,
"হিসাবের বাম পাশে যা বসানো হয় তাকে হিসাবের ডেবিটিং ও ডান
পাশে যা বসানো হয় তাকে ক্রেডিটিং বলা হয় ।"
ডেবিট
|
ক্রেডিট
|
|
|
ডেবিট – ক্রেডিট নির্ণয়ের নিয়মাবলীঃ
১.
সনাতন পদ্ধতি বা স্বর্ণসূত্র
১. সনাতন পদ্ধতি বা স্বর্ণসূত্রঃ
এই পদ্ধতিতে হিসাবের শ্রেণীবিভাগের উপর
ভিত্তি করে ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয় করা হয় ।সনাতন পদ্ধতিতে হিসাবকে তিন ভাগে ভাগ করা
হয় ।
ক) ব্যক্তিবাচক হিসাবঃ
একটি পক্ষ সুবিধা গ্রহণকারী ও অপরটি
সুবিধা প্রদানকারী । সুবিধা গ্রহণকারী ডেবিট ও সুবিধা প্রদানকারীকে ক্রেডিট করা হয়
। যেমন –
শফিক জনতা বাংকে ১২০০০ টাকা জমা দিল ।
এখানে জনতা বাংক সুবিধা গ্রহণকারী ও শফিক
সুবিধা প্রদানকারী । তাই জনতা বাংক হবে ডেবিট ও শফিক হবে ক্রেডিট ।
খ) সম্পত্তিবাচক বা
বাস্তব হিসাবঃ
সম্পদ আসে বা বৃদ্ধি পায় তবে উক্ত
সম্পত্তিকে ডেবিট ও সম্পদ কোন কারণে হ্রাস পায় তবে উক্ত সম্পত্তিকে ক্রেডিট করতে
হবে । যেমন –
১০০০০০ টাকা দিয়ে একটি সুপার কম্পিউটার ক্রয় করা হল ।
এখানে কম্পিউটার নামক একটি সম্পদ বৃদ্ধি
পাওয়ায় কম্পিউটার হিসাবকে ডেবিট এবং নগদ টাকা ব্যবসায় হতে চলে যাওয়ায় নগদ হিসাবকে
ক্রেডিট করতে হবে ।
গ) নামিক বা আয়-ব্যয়
বাচক হিসাবঃ
সকল প্রকার ব্যয় বা ক্ষতিকে ডেবিট ও সকল
প্রকার আয় বা লাভকে ক্রেডিট করা হয় । যেমন-
১. কর্মচারীকে বেতন প্রদান ২০০০ টাকা ।
২. পণ্য বিক্রয় ৩০,০০০ টাকা ।
এখানে বেতন প্রদান করা ব্যয় হয়েছে তাই
বেতন হিসাব ডেবিট হবে । পরের লেনদেনে পণ্য বিক্রয় করায় আয় হয়েছে তাই বিক্রয় হিসাব
ক্রেডিট হবে ।
1 মন্তব্য(গুলি):
Write মন্তব্য(গুলি)Tnx
ReplyEmoticonEmoticon